চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে মূল জমির মালিকের স্বাক্ষর জাল করে এক একর জমির দালিল জালিয়াতীর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউিিনয়েনে বাঁশমহল গ্রামে এবং জমির অবস্থান হলো কানসাট ইউনিয়নের পুখুরিয়া মৌজায়। ঘটনাটি ঘটিযেছে সেলিমাবাদ পাড়ার মৃত আব্দুর রশিদ দাদ খানের ছেলে শাকিল খান। তিনি তার আত্মীয় মান্নান খান,হান্নান খান ও মনিরুল ইসলাম খানের নামে জাল দলিল করেছে কানসাট ইউনিয়ন ভ’মি অফিসের তহশিলদারের সহযোগিতায়।মূল জমির হলো বাঁশ মহল গ্রামের হিম্মত শেখের ছেলে আমজাদ শেখ ও সমশের শেখ। জমির দলিলদ্বয়, বর্তমান জমির মালিক ও খতিয়ান সূত্রে জানা গেছে ২০-০৬-১৯৭৮খ্রী:তারিখে ৯০৩১নং খোষ কবলা দলিল মূলে দলিল গ্রহিতা হলো কানসাট ইউনিয়নের সেলিমাবাদ গ্রামের মৃত আবেদ দাদ খানের ছেলে মান্নান দাদ খান, হান্নান দাদ খান ও মনিরুল দাদখান এবং দাতা হলো একই ইউনিয়নের বাঁশ মহল গ্রামের হিম্মত শেখের ছেলে আমজাদ শেখ ও সমশের শেখ।জমির পরিমান এক একর। মূল্য ৫হাজার টাকা। মৌজা হলো পুখুরিয়া সে:মে: হাল খতিয়ান নং ৩১, হাল দাগ নং ৫৮৩,৬২৯, ৪২৩, ৬৩০, ৬৬৪,৬৬৫,৬৬৬। মোট জমির পরিমান হলো ২ একর ১৮শতক। তারমধ্যে বিক্রিত জমির পরিমান হলো ১ একর।
অন্যদিকে ০৮-০৭-১৯৭৮খ্রী: তারিখে একই তারিখে ৯০৩১নং দলিলে জমির গ্রহিতা হলো বিনোদপুর ইউনিয়নের কালিগঞ্জ গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে শের মোহাম্মদ, উজির আলী, নাজির উদ্দিন ও আলকেশ আলী এবং দাতা হলো একই গ্রামের মহসিন বিশ্বাসের ছেলে জিল্লার রহমান ও আব্দুর রফিক উদ্দিন।জমির পরিমান হলো ২৫শতক। মূল্য ৪হাজার টাকা। মৌজা কালিগঞ্জ। খতিয়ান নং সাবেক ৩২৫, হাল ৭১১ ডি,সি ৪২৯। দাগ নং সাবেক ১৪৪১,১৪৪২, ১৪৬৮ এবং ১৪৬৯ এবং হাল দাগ নং ১২২৮ ও ১২৮৬। ৩২৫ খতিয়ান ও দুই দাগে মোট জমির পরিমান হলো ১ একর ১৮ শতক। তারমধ্যে বিক্রিত জমির পরিমান হলো ২৫শতক।
এ ব্যাপারে মূল জমির মালিকের ওয়ারিস আব্দুল মান্নান জানান পুখুরিয়া মৌজা সে:মে: হাল খতিয়ান নং ৩১,হাল দাগ নং ৫৮৩,৬২৯, ৪২৩, ৬৩০এ চারটি দাগের জমি আমাদের পূর্ব পুরুষদের রেকর্ডীয় সম্পতি এবং আমরা বহুদিন থেকে বসবাস করে আসছি। রীতিমত খাজনা দিয়ে আসছি। আমাদের জানা মতে আমাদের পূর্বপুরুষের এ জমি কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের কাছে বিক্রী করেননি।হঠাৎ করে কিছুদিন আগে জানতে পারি যে কানসাট সেলিমাবাদ পাড়ার মান্নান খান, হান্নান খান ও মনিরুল ইসলাম খান এক একর জমি বলে দাবী করছে এবং দখলের পায়তারা করছে। আমি তৎক্ষনাৎ তাদের জমির দলিলের নম্বর ও তারিখ অনুযায়ী শিবগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিস থেকে নকল তুলে জানতে পারি যে ১৯৭৮সালে একই তারিখে ৯০৩১নং দলিলে জমির গ্রহিতা হলো বিনোদপুর ইউনিয়নের কালিগঞ্জ গ্রামের মহসিন আলির ছেলে শের মোহাম্মদ, উজির আলি, নাজির উদ্দিন ও আলকেশ আলি এবং দাতা হলো একই গ্রামের মহসিন বিশ্বাসের ছেলে জিল্লার রহমান ও আব্দুর রফিক উদ্দিন। তিনি আরো জানান যে আমি নিশ্চিত যে তারা আমাদের জমির জাল দলিল করেছে।
এব্যাপরে জাল দলিল কারী শাকিল খানের সাথে ০১৭৭৮৫৮৮৮৫০ নম্বরে ফোন দিয়ে ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্বব হয়নি। তবে তার একটি অডিও রেকর্ডে তিনি স্বীকার করেছেন যে দলিল জাল এবং কানসাট ইউনিয়নের ভুমি অফিসের কর্মকর্তার প্ররোচনায় পড়ে তিনি এটি করেছেন। উল্লেখ্য যে জাল দলিলে জমি গৃহিতা মনিরুল ইসলাম শাকিল খানের চাচা এবং তার কোন সন্তান ছিল না। সে সূত্র ধরে শাকিল খান দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে মনিরুল ইসলামের ওয়ারিস হিসাবে ঐ জমির মালিক হওয়ায় আশায় এ জাল দলিল করেছে বলে ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান জানান। এদিক কানসাট ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তা নুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এ ঘটনায় জড়িত নয়। তবে দলিলটি জাল আমরা জানতে পেরে ঐ জমির খারিজ ও দলিল বাতিলের জন্য উপজেলা ভুমি অফিসেগত ০৪-০২-২০২১খ্রী: তারিখে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি।