শিবগঞ্জের মনাকষা ইউনিয়নের মনাকষা ঈদগাহ মোড় হতে সাহাপড়া বাজার পর্যণÍ রাস্তা নির্মানে রাস্তার পাশে প্রটেকশন ওয়ালর্ নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কয়েক দফা স্থানীয়দের সাথে শ্রমিকদের বাকবিতন্ডা হয়েছে বলে জানা গেছে।তবে এ অভিযোগ ঠিকাদার অস্বীকার করেছেন।সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বানীনগর ঘুনটোলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রফিকের বাড়ি হতে গোপালপুর ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তার পাশে প্রটেকশন ওয়াল নির্মানে ওযালগুলি নিচু স্থানে নিচুই রয়েছে। ওয়াল দেয়াল দেয়ার পর পানিতে ভিজানো হচ্ছে না। অনেক স্থানে প্রটেকশন ওয়ালের প্রয়োজন থাকলে সে স্থান গুলো ফাঁকা রাখা হচ্ছে। নি¤œমানের বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। অর্থাৎ যে বালু সাধারণত ভরাট হিসাবে ব্যবহার করা হয় সে গুলো ব্যবহার করা হচ্ছে।রাস্তার পাশে অনেক বড় গর্ত থাকলেও সেখানে কোন প্রটেকশন ওয়াল না দিয়ে ফাঁকাই রাখা হচ্ছে।
সরজমিনে রানীনগর ঘুন টোলা ও হঠাৎপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেন, হাকিম উদ্দিন, জেম আলি, সোহবুল হক, আনারুল হক, আসাদুল ইসলাম,এজাবুল হক,মাইনুল ইসলাম,সুজন আলি,লতিফুর রহমান, দুলাল উদ্দিন, জমিরুদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা মোহবুল হক, মুক্তিযোদ্ধা মিন্টু আলি, নাইমুল হক, আব্দুল খালেক, কাইয়ুম আলি সহ প্রায় শতাধিক লোজ জানান, শত অনুরোধ করেও তারা ঠিকমত কাজ করছে না। বালি ও সিমেন্টের ক্ষেত্রে ৫ঃ ১ ভাগ দেয়ার নিয়ম থাকলেও প্রায় ৭ঃ ১ ভাগ দিয়ে কাজ করছে। নি¤œ মানের বালু ব্যবহার না করার জন্য বার বার অনুরোধ করলেও তারা শুনছে না। প্রটেকশন ওয়াল দেয়ার পর পানি দিয়ে ভিজানোর নিয়ম থাকলেও না ভিজানোর কারনে শুকিয়ে মসলাগুলো ভুরভরা ধরে যাচ্ছে। আমরা কাজ বন্ধ করে দেয়ার কিছু সময় নিয়ম মেনে চললেও কিছুক্ষন পরে আবারো অনিয়মের মাধ্যমে কাজ করছে। তারা আরো জানান রাস্তার পাশে বড় বড় গর্ত আছে। সেখানে স্থানে প্রটেকশন ওয়াল না দিয়ে মাঝে মাঝে ফাঁকা রাখা হচ্ছে। যে স্থানগুলোর সামনের রাস্তা সামান্য কারনে অল্প দিনের মধ্যে পূর্বের মত নষ্ট হয়ে যাবে।
তারা আরো বলেন আমাদের দাবী সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টির মাধ্যমে রাস্তার পাশে প্রটেকশন ওয়ালের কাজ নিয়ম অনুসারে করা হোক এবং গর্তের পাশে ফাঁকা স্থানগুলোতে প্রটেকশন ওয়াল দেয়া হোক।
এব্যাপারে এ রাস্তার ঠিকাদার মঈন খানের সাথে যোগাযেগ করা হলে তিনি সমস্ত অভিযোগ করে বলেন, সরকারের দেয়া নিয়ম অনুসারে প্রটেকশন ওয়ালের কাজ হচ্ছে।কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি। নিয়ম বা সিডিউল অনুযায়ী মাঝে মাঝে ফাঁকা থাকবে।বালি ও সিমেন্টের ভাগ ঠিক আছে। নিয়ম ভঙ্গ করায় স্থানীয় জনগন বাধার দিয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি দাম্ভিকতার সাথে বলেন না জেনে কেন প্রশ্ন করছেন? জনগনের সাথে বাকবিতন্ডার কারণ হলো রাস্তার প্রশÍ নিয়ে। তারা প্রস্থ বেশী করলে বললেই তো করা যায় না বলে ফোনের সংযোগ বন্ধ করে দেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, রাস্তার পাশে সব স্থানে প্রটেকশন ওয়াল দেয়া সম্ভব নয়। তবে প্রয়োজনীয় স্থানে প্রটেকশন ওয়াল দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে সে মোতাবেক ঠিকাদারকে কাজ করতে বলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন নি¤œ মানের বালি, বালি ও সিমেন্টের অনুপারত পরীক্ষা করা দেখা হবে এবং অনিযম পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হেেব। তিনি আরো বলেন রাস্তার কাজে কোন ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না।