নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ সীমান্তে ৩মাস পর বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হওয়া এক যুবকের মরদেহ ফেরত দিয়েছেন বিএসএফ।
নিহত যুবক উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বাবুপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে বাবলু হক (৩৫)। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সোনামসজিদ সীমান্তে জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিজিবির নিকট মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়।
পরে বিজিবি ও শিবগঞ্জ থানা পুলিশ উপস্থিত থেকে নিহতের ভাই সাজেবুল হকের নিকট মরদেহটি বুঝিয়ে দেয়া হয়। আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই মরদেহ ফেরত দিতে বিলম্ব হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় মালদহ পুলিশ-বিএসএফ, ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সোনামসজিদ ক্যাম্পের সদস্য, শিবগঞ্জ থানা পুলিশ, পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য ও নিহত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২২ আগস্ট রাতে উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের চাকপাড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত মেইন পিলার ১৮৩/৬ এস এর শূন্য লাইন হতে আনুমাণিক ১৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে উনিশবিঘী এলাকায় দিয়ে বাবলু ভারতে প্রবেশ করলে মালদহের ৭০ বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদল তাকে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এ সময় আহত হলে বিএসএফ টহলদল তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভারতের মালদহ মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান। নিহত ব্যক্তি উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বাবুপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে। শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ইসমাইল হক সায়েম জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন বাবলু হক বেশ কিছুদিন থেকে এই এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল। হঠাৎ খবর আসে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। পরে বিএসএফ সদস্যরা মরদেহ নিয়ে যায়। দীর্ঘ ৩ মাস পর আইনী প্রক্রিয়া শেষে ভারতীয় পুলিশ-বিএসএফ ও বাংলাদেশ পুলিশ ও বিজিবির উপস্থিতিতে নিহতের মরদেহটি ফেরত দেয়া হয়।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চত করেন।