নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে নির্বাচন পরবর্তী হামলা ও সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পর্যন্ত শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১২টি হামলা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে গত সোমবার রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলামের ট্রাক প্রতিকের উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু আহমেদ নাজমুল কবির মুক্তার বাড়ি সহ ৪টি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদে শিবগঞ্জ ডাকবাংলো চত্বরে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলামের ট্রাক প্রতিকের উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুল ইসলাম টুটুল খান। তিনি তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৭ জানুয়ারি রবিবার রাতে এমপি ডা. শিমুলের লোকজন জেলা মহিলা লীগের সহ-সভাপতি ও মোবারকপুর ইউনিয়নে সাবেক মহিলা সদস্য নুরজাহান বেগমের বাড়িসহ ২টি বাড়িতে, একই দিন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি তোহর আহমেদের বাড়িতে, ৮ জানুয়ারি সকালে ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িসহ ২টি বাড়িতে হামলা, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালিয়েছে। একই দিনে সন্ধ্যায় বিনোদপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বিশ^নাথপুর গ্রামের ডা. শিমুল এমপির লোকজন ট্রাক প্রতিকের সমর্থক মাহবুব আলমের হাতের আঙ্গুল কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়, একই দিনে বিকেলে শিবগঞ্জ পৌর এলাকা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ট্রাক প্রতিকের সমর্থক ইব্রাহিমের বাড়িতে, ওইদিন ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের বহলাবাড়ি মোড়ে একটি দোকানে হামলা চালিয়ে একজনকে বেধড়ক মারপিট করে, উজিরপুর ইউনিয়নের ট্রাক প্রতিকের একটি অফিসে আগুন দেয়া হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
তিনি আরো বলেন, এপর্যন্ত ১২টি হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলেও শিবগঞ্জ থানায় পৃথক পৃথক অভিযোগ করার পরও পুলিম এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলামের ট্রাক প্রতিকের উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু আহমেদ নাজমুল কবির মুক্তা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. আব্দুল আওয়াল গনি জোহা প্রমূখ।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় দিয়ে ৬টি ঘটনা ঘটেছে। ৪টি ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। তার মধ্যে ছত্রাজিতপুর, ঘোড়াপাখিয়া ও মোবারকপুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির বাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরো বলেন, তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে।