নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পরকীয়ার জড়িয়ে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে এসে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে এক সন্তানের জননী অনশন করছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। বৃহষ্পতিবার দুপুরে শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের তেররশিয়া গ্রামের এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, শাহবাজপুর ইউনিয়নের তেররশিয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মো. জাহিদ হোসেনের ছেলে রিয়াল আলী (২৩)’র সাথে ৭ মাস আগে এক সন্তানের জননী পরকীয়া জড়িয়ে পড়ে। পরকীয়ার জেরে স্বামীর সংসার ছেড়ে এসে প্রেমিক রিয়াল আলীকে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে ওই জননী।
অনশনরত ওই জননী প্রেমিকা বলেন, তেররশিয়া গ্রামের ফিটুর ছেলে সুইটের সাথে রিয়ালের বন্ধুত্ব। সুইটের মাধ্যমে রিয়ালের সাথে আমার পরিচয় এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক। সম্পর্কে জড়ানোর আগে আমি রিয়ালকে অনেকবার বলেছি, আমি বিবাহিত মেয়ে, আমার একটা ৫ বছরের ছেলে সন্তান আছে। আমি ছেলে সন্তান রেখে তোমার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে পারবো না। কিন্তু রিয়াল আমাকে বিয়ে সহ বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এবং আমার কাছ থেকে বেশকিছু টাকা নিয়ে। তিনি আরো বলেন, আমার বাপের বাড়ি রিয়ালের বাড়ির কাছাকাছি। আমি বাপের বাড়ি আসলে সে আমার সাথে দেখা করতে বাপের বাড়ি চলে আসতো। এছাড়া সে আমার বিভিন্ন স্থানে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে নিয়ে যেতো। সেই সুযোগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। শারীরিক সম্পর্ক করার পর থেকে আমার সাথে যোগাযোগ না করে বিয়ে করবো না বলে জানাই রিয়াল।
জননী প্রেমিকা বলেন, আমার সুখের সংসার ভেঙ্গে দিয়ে আমাকে বিয়ে না করে সে অন্য স্থানে বিয়ে করবে বলে সাফ জানায়। বাধ্য হয়ে নিজের অধিকার আদায়ের জন্য আমি শিবগঞ্জ থানায় অভিযোগ ও এজাহার করে এসে রিয়ালের বাড়ি চলে আসি। কিন্তু আমাকে তাঁর পরিবার এবং তাঁর প্রতিবেশিরা শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তাই বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করছি।
এব্যাপারে প্রেমিক রিয়ালের পিতা পল্লী চিকিৎসক মো. জাহিদ হোসেন জানান, আমি ওই মেয়েকে চিনি না। সে আমার বাড়িতে ঢুকে ঘরের দরজা লাগিয়ে দূর্ঘটনার পরিকল্পনা করে তাই এলাকার মহিলার তাকে বের করে দিয়েছে। আমার ছেলে রিয়াল আলীর সাথে তার কোন সম্পর্ক না। আমার পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য মেয়েটি এধরনের কাজ করছে।
এদিকে, তেররশিয়া গ্রামের ফিটুর ছেলে সুইটের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি এবিষয়ে কোন কথা বলেননি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত প্রেমিক রিয়াল আলী বাড়িতে না থাকায় তাঁর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই মেয়েকে আমি চিনি-ই না। তাঁর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ চৌধুরী জোবায়ের আহামেদ জানান, এবিষয়ে থানায় এখ নপর্যন্ত কোন এজাহার বা অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।