শিবগঞ্জে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতি এক রোগীর মৃত্যুর হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মৃত প্রসূতি রোগী গোমস্তাপুর উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের মকরমপুর গ্রামের লিটন হালদারের স্ত্রী ও শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের পুখুরিয়া গ্রামের বীরেন কর্মকারের মেয়ে শ্রীমতি টপি রানী (২৫)। বুধবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শিবগঞ্জ মডেল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত’র পরিবারের অভিযোগ, টপি রানীর প্রসব বেদনা হলে দুপুর ২টার দিকে শিবগঞ্জের মডেল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে রোগীর অস্ত্রোপচার শুরু করেন সার্জন ডা. দেলওয়ার হোসেন। এসময় জন্মলাভ করে এক নবজাতক। পরে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে বিকেল ৪টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করেন কর্তব্যরত ওই চিকিৎসক। পথিমধ্যে ওই রোগীর মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বামী লিটন হালদারের অভিযোগ, চিকিৎসকের অবহেলায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এর দায়ভার সার্জন ডা. দেলওয়ার হোসেন ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। একই সঙ্গে চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান তিনি।
এবিষয়ে ডা. দেলওয়ার হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যে কোন অপারেশনে ঝুঁকি থাকে। কোন কোন রোগীর অ্যানেস্থেসিয়া মেডিসিনে সমস্যা হতে পারে। এতে হৃদরোগ ক্রিয়া আঘাত করতে পারে। কিন্তু আমি তো সার্জারী ডাক্তার, আমার কাজ অপারেশন করা করা। আমি অপারেশন সঠিকভাবে সম্পন্ন করেছি। অপারেশন শেষে রোগীকে পর্যবেক্ষণ রেখেছি। রোগীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক সন্দেহ হলে রোগীর পরিবার রাজশাহী নিয়ে যেতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা সরাসরি রাজশাহী না গিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ হাসপাতাল থেকে ঘুরে আসে। এতে অনেকে বিলম্বনা হয়।
তিনি আরো বলেন, এধরনের রোগী হাজারে একটি দূর্ঘটনা ঘটে। এ দূর্ঘটনা ঘটলে আমাদের কিছু করার থাকে না। এছাড়া রোগী ভর্তির সময় অপারেশনের বেশকিছু শর্ত সাপেক্ষে ভর্তি করা হয়। যা রোগী ভর্তি ফরমে উল্লেখ করা থাকে। আমরা ডাক্তার কখন চাই না কোন রোগীর মৃত্যু হোক।
অন্যদিকে, মডেল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক ফজলে রাব্বীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার মন্তব্য মেলেনি।
শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ জানান, এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।